এই চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন:
চিত্রের স্টার অফ ডেবিট প্রতীক হয়তো আপনাকে ইসরায়েল কিংবা ইহুদি ধর্মের কথা মনে করিয়ে দিবে আর এর মধ্যখানের স্বস্তিকা প্রতিকটি হয়তো আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে নাৎসি বাহিনী অথবা হিন্দু ধর্মের কথা। কিন্তু এই চিত্রটি সাথে উপরের কারো সম্পর্ক নেই।

চিত্রটি বরঞ্চ একটি ধর্মকে নির্দেশ করে যার শুরু ১৯৭৪ সালে প্যারিসে যা রাইয়েলবাদ(Realism) নামে পরিচিত। বর্তমানে যার অনুসারী সংখ্যা প্রায় এক লাখের কাছাকাছি।
১৯৪৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের ভিচেতে জন্ম নেওয়া ক্লদ ভোরিলহন এই ধর্মের প্রবর্তক। ছোটবেলা থেকেই গায়ক হওয়ার এবং রেসিংকার কেনার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ১৯৭১ সালের মে মাসে অটোপপ নামের একটা স্পোর্টস ম্যাগাজিন বের করেন। তবে ২৭ বছর বয়সেই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়।
১৯৭৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ক্লদ ভেরিলহনের কথা অনুযায়ী এই দিনে ফ্রান্সের The puy de Lassols আগ্নেয়গিরির কাছে থেমে থাকা একটি স্পেসশিপ এর কাছে ২৫ হাজার বছর বয়সী মানব সদৃশ চার ফুট ভিমগ্রহের বুদ্ধিমান প্রানি তার সাথে দেখা করে। এরাই অতীতে পৃথিবীতে এসেছিল। যাদের প্রাচীন হিব্রু ভাষার নাম দিয়েছিল ইলোহিম। এর অর্থ যারা আকাশ থেকে এসেছে।

ইলোহিম তাকে জানাই আদিতে পৃথিবী ছিল জীবন শূন্য সেই জীবনশূন্য পৃথিবীতে ছিল ঘন মেঘ এবং অগভীর সমুদ্র। কিন্তু ইলোহিমগণ এসে ঘন মেঘ ভেঙে দিয়েছিল আর তাতেই সমুদ্রের উপর সূর্যালোক পড়েছিল। এরপর তারা নির্মাণ করে মহাদেশ। এখানে বৈশ্বিক পরিবেশ সংশ্লেষণ করে। সৌর জ্যোতির্বিদ্যা, টেরাফর্মেশন, ন্যানোটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ইলহীন পৃথিবীর তাপমাত্রায় জীবনের প্রাণ রসায়ন সম্ভব করে তুলে।
তাছাড়াও সে আরো জানাই যে গার্ডেন অফ ইডেন আসলে একটি সু-বৃহৎ ল্যাবরেটরি যার অবস্থান ছিল কৃত্রিমভাবে তৈরি মহাদেশের উপর। নুহু নবীর কিস্তি ছিল একটি স্পেসশিপ-that preserved DNA that was used to resurrect animals through cloning!.
টাওয়ার অফ বাবল হলো a rocket that was supposed to reach the creators planet! আর মহাপ্লাবন হল the by product of a nuclear missile explosion that the elohim sent. After tidal wave floods following the explanations recorded. Elohim scattered the Israelites and had them speak the language of other tribes.
এর বাহিরেও ইলোহিমগন নাকি পৃথিবীতে পায় 40 জন মানুষকে প্রফেট হিসেবে নির্বাচন করেছিল। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মুসা আঃ, এলিজা, ইজিকিয়েল, বুদ্ধ, জন দা ব্যাপেস্ট, যীশু, মোহাম্মদ সঃ এবং মরমন ধর্মের প্রবক্তা জোসেফ স্মিথ। এর অর্থ ইহুদি ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম খ্রিস্টধর্ম ইসলাম এবং মরমন ধর্মের স্রষ্টা ইলহিম।
ইলোহিম এর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর ভোরিলোহন নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ক্লদ রাইয়েল। ১৯৭৪ সালে এবং ১৯৭৫ সালে তার দুটি বই প্রকাশিত হয় প্রথমটি দি বুক হুইচ টেল্স দা ট্রুথ এবং দ্বিতীয়টি এক্সট্রাটেসটি্রআল্স টুক মি টু দেয়ার প্লানেট।

রাইয়েলবাদী ধর্মের অন্যতম ভিত্তি হল intelligent design। কারণ raclians disbelieve in evolution believing that DNA naturally rejects mutation. They believe the Elohim planted all life on earth 25000 years ago through scientific process. এজন্য ক্লদ রাইয়েল বিশ্বাস করেন যে, cloning will enable mankind to reach eternal life. ২০০২ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর Clonaid নামে একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সিইও এবং রাইয়েলবাদী ধর্মের পুরোহিত ব্রিজিত বোইসেলিয়ার শিশু ইভ এর জন্মের ঘোষণা দেন। সম্ভবত এটি বিশ্বের প্রথম হিউম্যান ক্লোন।
যৌন স্বাধীনতা রাইয়েলবাদী ধর্মের অন্যতম বিশিষ্ট। রাইয়েলবাদী ধর্ম মনে করেন ইলোহিম দয়ালু স্রষ্টা। ইলহিন চায় মানুষ যেন জীবনের আনন্দ অর্থাৎ যৌন সুখ উপভোগ করে। এজন্য বলা হয়, sexuality is an important part of Raelian doctrine. রাইয়েলবাদী ধর্মটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের অবাধ যৌন স্বাধীনতার পক্ষে এবং এই দৃষ্টিভঙ্গি রাইয়েলবাদী ধর্মটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
রাইয়েলবাদী ধর্মে Rael’s Girls নামে মেয়েদের আরেকটি সংগঠন রয়েছে।। এরা কট্টর নারীবাদী এবং যারা নারীর অবাধ যৌন জীবনের বিরুদ্ধে Rael’s Girls তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এদের অনেকেই স্বেচ্ছায় sex industry তে কাজ করে। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসের প্লে বয় সংখ্যায় ক্লদ রাইয়েল এবং তার মেয়েদের নিয়ে ফিচার বেরোয়। রাইয়েলবাদ জাপানে বেশ জনপ্রিয়। জাপানে পর্নোগ্রাফি প্রসারের পিছনে রাইয়েলবাদ এর প্রভাব থাকতে পারে।
রাইয়েলবাদী ধর্মের অনুসারীরা শান্তিবাদী ও যুদ্ধ বিরোধী। তাদের মতে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা বছরের মাধ্যমে age of apocalypse এর সূচনা ঘটে। Age of apocalypse এরপরেই ইলোহিমগন পৃথিবীতে আসবে। ইলোহিম যাতে পৃথিবীতে নিরাপদে আসতে পারে সেজন্য ক্লাদ রাইয়েল ইসরাইলে দূতাবাস নির্মাণ করতে চান।

Reference:
1. হাজার বছরের অব্যক্ত শয়তানের গল্প – কাজি ম্যাক
2.https://www.rael.org
লেখক: মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন রায়হান
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
